২৪খবরবিডি: 'তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাজকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে গুণী মানুষদের সম্মান করতে হয়। যে সমাজ গুণী মানুষের শ্রদ্ধা করে না সে সমাজে গুণী মানুষ তৈরি হয় না।'
'সরকার মানবিক রাষ্ট্র গঠন করার পাশাপাশি একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রও গঠন করতে চায়। আমরা ভবিষ্যৎ পথচলায় দেশকে একটি মানবিক, সামাজিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বানাতে চাই। সবাইকে এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী খালীকুজ্জামান আহমদের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ওপর রচিত 'তারুণ্যে উদ্দীপ্ত বরেণ্য প্রবীণ বিদগ্ধজন' গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি প্রোগ্রাম। বইটির প্রকাশনা করে পলক পাবলিশার্স। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দিন দিন মানুষের মানবিকতা, মমত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে আজ মানুষগুলোও বস্তু হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বস্তুগত উন্নয়ন আর কিছু যন্ত্রের ব্যবহার এই দুটির কারণে মানুষও বস্তু হতে যাচ্ছে এবং যন্ত্রের মতো আচরণ করছে। মানুষের মানবিকতা, মমত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ আত্নকেন্দ্রীক হয়ে যাচ্ছে।'
'রাষ্ট্রকে মানবিক হওয়ার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত রাষ্ট্র কি পাশ্চাত্যকে অন্ধ অনুকরণের মধ্যেই হবে। কেউ বয়স্ক হয়ে গেলে তার ঠিকানা হবে বৃদ্ধাশ্রমে। এটিই যেন নিয়তি। সমাজ তা মেনে নিয়েছে, এটি সমাজের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা কি এমনি একটি উন্নত রাষ্ট্র চাই! আমি অন্তত চাই না। আমরা চাই একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং একইসঙ্গে
সামাজিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী
একটি মানবিক রাষ্ট্র। আর এই মানবিক রাষ্ট্র হতে হলে মানবিকতার বিকাশ দরকার। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা দরকার।সরকার সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কারণ রাস্তা দিয়ে সারিসারি গাড়ি চলে যাবে এবং রাস্তার পাশে একজন মানুষ হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকবে, আর কেউ তাকে সাহায্য করতে দাঁড়াবে না, এমন সমাজের তো দরকার নেই।'
'উন্নত দেশ যেমন ইউরোপের মতো দেশগুলোতে যেখানে সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র আছে সেখানে রাষ্ট্র তাদের বাসস্থান এবং খাদ্য নিশ্চিত করেছে। সমাজ পরিবর্তনের পেছনে তরুণ প্রজন্মের কি করণীয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, নতুন প্রজন্ম যদি গুরুজনদের সম্মান না করে, আর পিতা-মাতাকে বোঝা মনে করে, তাহলে তো মানবিক রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। তাই এদের নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। মানুষ এবং রাজনীতিবদরা যেন এগুলো নিয়ে চিন্তা করে। আমি জানি এই কথায় সমাজ পরিবর্তন হবে না। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. মো আবদুল করিম। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শফি আহমদ, প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবির, মো. জামাল হোসেন, সোহরাব হাসান, পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর কাদের, অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম প্রমুখ।'